সাইলেস প্রস্তুতকরণ ও বিপণন

সাইলেজ কি

সাইলেজ মূলত সবুজ ঘাস সংরক্ষণ করার একটি পদ্ধতি। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সবুজ ঘাসের পুষ্টিমান ঠিক বায়ুশূন্য অবস্থায় এই ঘাসকে ভবিষ্যতের জন্য প্রক্রিয়াজাত করে রাখার প্রক্রিয়াকে সাইলেজ বলা হয়।

সাইলেজ তৈরির নিয়ম

সাইলেজ এখন শুধু কাঁচা ঘাস সংরক্ষণের প্রক্রিয়াই নয়। এটি গবাদিপশুর জন্য অধিক পুষ্টিকর খাদ্য হিসাবে সারাবিশ্বে সমাদৃত! ভালো মানের সাইলেজে ড্রাই মেটার ব্যাসিসে ৯-১২ মেগাজ্যুল/কেজি এনার্জি বা শক্তি এবং ১৬% পর্যন্ত প্রোটিন থাকে! সাইলেজ তৈরীর জন্য নির্ধারিত ঘাস অথবা ভুট্টা  ছোট ছোট কেটে সেটাকে এয়ার প্রুফ করে রাখাই হচ্ছে সাইলেজ। এই ভূট্টা বা ঘাসের মিশ্রণগুলো ২১ দিন রাখার পর গরুকে খাওয়ানোর উপযোগী হয়। সাইলেজ হচ্ছে গরুর জন্য এক প্রকার আচার। ১০০ কেজি ঘাস বা ভুট্রার সাইলেজ তৈরি করতে 3 কেজি চিটাগুড় সাথে সমপরিমাণ পানি ভালো করে মিশিয়ে তা ঘাস বা ভূট্টার কুচি কুচি টুকরোগুলোর উপরে ছিটিয়ে দিয়ে  ভালো করে মিশাতে হবে। মেশানো মিশ্রণগুলো এয়ারপ্রুফ প্লাস্টিকের বস্তা, ড্রাম অথবা পলেথিনের সাহায্যে মাটি চাপা দিয়ে রাখতে হবে। যাতে বাহির থেকে বাতাস না ঢুকে। ঘাস বা ভূট্টা কেটে রোদে কিছুক্ষণ ( দুই এক ঘন্টা ) রোদে শুকালে সাইলেজ খুব ভালো হয়। ভুট্রা ও পাকচং ঘাসের সাইলেজের পুষ্টিমান অনেক ভালো।

ভালোমানের সাইলেজ বোঝার উপায়

ভালোমানের সাইলেজে ড্রাই-মেটার 30% – 35% হতে হবে এবং ময়েশ্চার কন্টেন্ট 65%- 70% হতে হবে। প্রস্তুতকৃত সাইলেজ মুঠো করে চেপে ধরে ছেড়ে দিলে হাতে দুই চারটা টুকরা লেগে থাকলে বুঝবেন ভালোমানের সাইলেজ প্রস্তুত হয়েছে।

সাইলেজের পু্ষ্টিমান ও উপকারিতা

সাইলেজ গরুর গোশত এবং দুগ্ধ উভয়ের জন্য একটি দুর্দান্ত খাদ্য, কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং শক্তি রয়েছে। গাভীর দুধ বৃদ্ধির জন্য বা গরুর মাংস বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত ফিড খাওয়ানো জরুরী। ভূট্টার সাইলেজ বা পাকর্চং ঘাসের সাইলেজ সাইলেজ হলো একটি উচ্চ মানের উচ্চ-ক্যালোরি ফিড। যা বিশেষত দুগ্ধ গাভী এবং গরুর মাংসের বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত। উচ্চ পুষ্টিমান এবং হজমতাসহ, এটি গবাদি পশুকে স্বাস্থ্যকর করতে পারে।ভালো সাইলেজ প্রস্তুত করতে পারলে লাভের পরিবর্তে ক্ষতির পরিমান বেশি হবে। গবাদিপশু অসুস্থ ও নানান ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *